Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর কৃষিকথা ১৪২৪ (নিয়মিত বিভাগ)

মো. নাজমুল হাসান,  গ্রাম : দহশৈলা, উপজেলা : লালপুর, জেলা : নাটোর
প্রশ্ন : আমের গুটির গায়ে এবং বোঁটায় কালো ফোসকা দেখা যায় এবং গুটিগুলো ঝরে যাচ্ছে। এর প্রতিকার কি?

উত্তর : এ রোগের নাম অ্যানথ্রাকনোজ। এতে পাতা, কাণ্ড, মুকুল ও ফলে ধূসর বদামি রঙের দাগ পড়ে। কচি পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায়। মুকুল কালো হয়ে যায়, আমের গুটি ঝরে যায়। আমের গায়ে কালচে দাগ হয় এবং আম পচে যায়। কুয়াশা, মেঘাচ্ছন্ন ও ভেজা আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়ে থাকে, গাছের সব মুকুল ঝরে যায়। এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমের মৌসুম শেষে গাছের মরা ডালপালা কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কাটা অংশে বর্দোপেস্ট (প্রতি লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন) লাগাতে হবে। বাগান সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে টিল্ট ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা ডাইথেন এম ৪৫, ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের আকার মটর দানার মতো হলে ২য় বার স্প্রে করতে হবে। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছ পরিষ্কার করে একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দিয়ে পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।  
মো. আল আমিন, গ্রাম : কান্দিকাবিলাপাড়া, উপজেলা : পীরগাছা, জেলা : রংপুর
প্রশ্ন : ভুট্টার ভালো ফলন পাওয়ার জন্য ভুট্টার ক্ষেতে কোন সময় পানি সেচ দিতে হবে?

উত্তর : ভুট্টার ভালো ফলন পাওয়ার জন্য উচ্চফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে রবি মৌসুমে সেচ প্রয়োগ করা জরুরি। ৩-৪টি সেচ নির্দিষ্ট সময়ে দিতে হবে।  প্রথম সেচ বীজ বপনের ১৫-২০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ  ৪-৬ পাতা পর্যায়ে দিতে হবে। দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ  ৮-১২ পাতা পর্যায়ে। মোচা বের হওয়া পর্যায় অর্থাৎ বীজ বপনের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে তৃতীয় সেচটি দিতে হবে। আর চতুর্থ সেচ  বীজ বপনের ৮৫-৯৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ  দানা বাঁধার পূর্ব পর্যায়ে দিতে হবে। ফুল ফোটা ও দানা বাঁধার সময় জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না।
অনুপ মণ্ডল, গ্রাম বিষখালী, উপজেলা : মোরেলগঞ্জ, জেলা : বাগেরহাট
প্রশ্ন : ধানের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, পাতার মধ্যে চোখের আকৃতির বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। কিভাবে এর প্রতিকার করা যাবে?

উত্তর : ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগ চারা অবস্থা থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় দেখা দিতে পারে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পাতায় শিশির জমে থাকলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পানি ধারণক্ষমতা কম এমন হালকা মাটিতে ধান চাষ করলে রোগটি বেশি হতে পারে। অনুকূল পরিবেশে রোগ দ্রুত ছড়ায় এবং ধানের প্রচুর ক্ষতি করে থাকে। রোগপ্রবণ জাতে যদি রোগটি হয় তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত ফলন কমে যায়। রোগ দেখা দিলে রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বিঘাপ্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। আবহাওয়া অনুকূল হলে রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ট্রুপার/নেটিভো/জিল নামক ছত্রাকনাশক বিঘাপ্রতি ১০৭ মিলিলিটার ১০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। ব্লাস্ট রোগের ক্ষতি থেকে বাঁচতে মাটিতে জৈব সার ব্যবহার করতে  হবে। রাসায়নিক সার সুষম মাত্রায়  ব্যবহার করতে  হবে। রোগাক্রান্ত বীজ ব্যবহার না করে সুস্থ বীজ ব্যবহার করতে হবে। রোগপ্রবণ ধানের চাষ থেকে বিরত থাকতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স¤পন্ন জাত যেমন বোরো মৌসুমে বিআর ৩, ৬, ৭, ১২, ১৪, ১৬, ১৭, ব্রিধান২৮ ও ৪৫; আউশ মৌসুমে বিআর ৩, ৬, ৭, ১২, ১৪, ১৬, ২০, ২১, ২৪; আমন মৌসুমে বিআর ৪, ৫, ১০, ব্রিধান ৩২, ব্রিধান ৩৩ ও ব্রিধান ৪৪ চাষ করতে হবে। ইউরিয়া সার যেন পরিমিতভাবে ব্যবহার করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ইউরিয়া সারের চাহিদা নির্ধারণের জন্য এলসিসি দিয়ে ধানের পাতার রঙ মিলিয়ে নেয়া ভালো।  জমিতে বা জমির আশপাশে অন্যান্য পোষক গাছ বা আগাছা যেন না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে।
আবদুস সাত্তার, গ্রাম : সালিহর, উপজেলা : গৌরীপুর, জেলা : ময়মনসিংহ
প্রশ্ন : পুকুরে হঠাৎ করে মাছ মরে যাচ্ছে, কী করব?

উত্তর : পুকুরে হঠাৎ করে মাছ মরে যেতে থাকলে পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে হবে। মাছের জন্য  নিয়মিত পরিমাণমতো সুষম খাদ্য (রেডি ফিড বা পিলেট ফিড) দিতে হবে। পুকুরে ৫০০ গ্রাম প্রতি শতকে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও নতুন পানি সংযোগ করতে হবে। বড় মাছ তুলে নিয়ে  বাজারজাতকরণ করতে হবে। হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা মাছকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে এবং পুকুর বা ঘের শুকানোর ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ সমস্যা হতে পারে।
নিপেন চন্দ্র, গ্রাম : দুর্গাপুর, উপজেলা : পিরোজপুর, জেলা : পিরোজপুর
প্রশ্ন : পুকুরে কার্প মাছের মিশ্র চাষ করতে চাই, এক্ষেত্রে কতগুলো মাছ ছাড়তে পারব?

উত্তর : চাষ পদ্ধতির  ওপর কার্প জাতীয় মাছের মজুত অনেকাংশে নির্ভর করে। সাধারণত মিশ্র চাষে ৪০টি (৩/৪ ইঞ্চি ৭.৬২ সে.মি-১০.১৬ সে.মি. সাইজের পোনা) : কাতলা ও সিলভার কার্প ২০টি, রুই ১০টি, মৃগেল ১০টি থাকতে পারে। আর আধা নিবিড় পদ্ধতিতে কার্প মিশ্র চাষে কাতলা ১০টি, সিলভার কার্প ১৫টি, রুই ১০টি, মৃগেল ৫টি, কমন কার্প ৫টি, সরপুটি ২০টি ও গ্রাস কার্প ২টি থাকতে পারে।
জাফর আলী, গ্রাম : বনগ্রাম, ইউনিয়ন : রাজাপুর, থানা : মোহাম্মদপুর, জেলা : মাগুরা
প্রশ্ন : আমার ১০টি মুরগি আছে, এগুলো শুধু ঝিমায়, কিছু খায় না, চুনের মতো পায়খানা করে। মুরগিগুলো শুধু পানি খেতে চায়। আমি কি চিকিৎসা করাব?
উত্তর:  মুরগির রানীক্ষেত রোগ হয়েছে। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই রোগ হওয়ার আগেই টিকা দিতে হয়। আক্রান্ত মুরগিকে টাইলোভেট বা মক্সিলিন ভেট বা এজিন ভেট পাউডার প্রতি ২.৫ গ্রাম এর সাথে ১ লিটার পানি মিশিয়ে দিনে একবার করে খাওয়াতে হবে, সাথে এনফ্লক্স ভেট পাউডার ১ গ্রাম এর সাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা সিপ্রো এ ভেট সিরাপ ১ মিলি পরিমাণ ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে  দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে। ১টা এইচ ভেট বা ফাস্ট ভেট ট্যাবলেট ৮ ভাগ করে প্রতি একভাগ ট্যাবলেট পানি অথবা খাদ্যের সাথে মিশিয়ে দিনে তিন বার খাওয়াতে হবে।
আবদুস সালাম, গ্রাম : মনিগঞ্জ, উপজেলা : তেঁতুলিয়া, জেলা : পঞ্চগড়
প্রশ্ন : আমার চার জোড়া কবুতর আছে। কবুতরগুলোর চোখ ও মুখের চারদিকে গুটি দেখা দিয়েছে। চোখগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি এর জন্য পরামর্শ চাই।

উত্তর : এ রোগটির নাম বসন্ত রোগ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগের জন্য প্রতিষেধক খুব জরুরি। কবুতরগুলোকে এখন থেকে বসন্তের টিকা দিতে হবে। কবুতরের বাচ্চার বয়স ৩-৭ দিন হলেই বসন্তের টিকা দিয়ে দিতে হবে। অসুস্থ কবুতরগুলো আলাদা ঘরে রাখতে হবে। এক গ্লাস পানিতে অল্প পরিমাণ পটাশ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে নিয়মিত নেবানল ক্রিম বা নিউবেক্রিন ক্রিম লাগিয়ে দিতে হবে। প্রতি এক লিটার পানিতে এক গ্রাম রেনামক্স বা মক্সিলিন ভেট পাউডার মিশিয়ে দিনে একবার করে খাওয়াতে হবে।  এভাবে রোগ ভালো না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা  করতে হবে।  

সুপ্রিয় পাঠক বৃহত্তর কৃষির যে কোনো প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান পেতে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো মোবাইল থেকে কল করতে পারেন আমাদের কল সেন্টারের ১৬১২৩ এ নাম্বারে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতিত যে কোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে। তাছাড়া কৃষিকথার গ্রাহক হতে বার্ষিক ডাক মাশুলসহ ৫০ টাকা মানি অর্ডারের মাধ্যমে পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৬ এ ঠিকানায় পাঠিয়ে ১ বছরের জন্য গ্রাহক হতে পারেন। প্রতি বাংলা মাসের প্রথম দিকে কৃষিকথা পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।

কৃষিবিদ ঊর্মি আহসান*

*উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (এলআর), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon